Sunday, May 1, 2011

অবিবাহিতদের জন্য বিয়ে বিষয়ক কিছু চিরন্তনী বাণী

বিয়ে সম্পর্কে এই উক্তিগুলোর অনেকগুলো করেছেন বিখ্যাত মানুষেরা। তাদের নাম এখানে উল্লেখ করা হল না এই কারণে যে এগুলো আসলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষেরই মনের কথা,প্রাণের কথা।
আর এই কথা গুলোকেই আমরা বাণী চিরন্তনী বলে আখ্যায়িত করেছি।

বাণীসমূহঃ

১-বিয়েঃ একটি বৈধ ও ধর্মসম্মত অনুষ্ঠান যেখানে দুজন বিপরীত (সাধারণত) লিঙ্গের মানুষ পরস্পরকে জ্বালাতন করা এবং পরস্পরের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার শপথ নেয় ততদিনের জন্য যতদিন না মৃত্যু এসে তাদেরকে আলাদা করে।

২-সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে একটু ভালোবাসা,একটু আদর,একটু কোমলতা পাওয়া - একে এক কথায় কি বলে বলতে পারেন? একে বলে আপনি ভুল বাসায় এসেছেন।

৩-আমি বহুদিন আমার স্ত্রীর সাথে কথা বলি নি, আমি আসলে তাকে কথার মাঝখানে থামাতে চাই নি।

৪-সব বিয়েই সুখের। পরবতী সময়ে একসঙ্গে থাকতে গিয়েই যত ঝামেলা হয়।

৫-আমি আর আমার স্ত্রী জীবনের ২৫টা বছর বড়ো আনন্দে কাটিয়েছি। তারপর আমাদের পরিচয় হল।

৬-সুখি দাম্পত্য জীবনের জন্য একজন পুরুষের উচিত তার মুখ বন্ধ রাখা আর চেকবই খোলা রাখা।

৭-"A man is incomplete until he is married. After that, he is finished."

৮-মেয়েরা কেমন পুরুষ চায়? সুদর্শন, বিত্তবান এবং নিবোধ।

৯-একজন পুরুষের শেষ কথা কি হওয়া উচিত? “ঠিক আছে, কিনে ফেলো”।

১০-স্বামী আর স্ত্রী হল একটি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, একসাথে থাকলেও তারা কখনো মুখোমুখি হতে পারে না।

১১-স্বামী হিসেবে প্রত্নতত্ত্ববিদরাই সবচেয়ে আদর্শ। পুরনো জিনিসের প্রতিই তাদের আগ্রহ বেশি।

১২-“Three rings of marriage are the engagement ring, the wedding ring, and the suffering.”

১৩-মেয়েরা আশা করে ছেলেরা বিয়ের পরে বদলাবে, কিন্তু তা হয় না। আর ছেলেরা আশা করে মেয়েরা বিয়ের পরেও একইরকম থাকবে, কিন্তু তারা বদলে যায়।

১৪-“The secret of a happy marriage remains a secret.”

১৫-বিষয়টি মজার যে একটি ছেলের জীবনে যখন কোন ধরণের দুশ্চিন্তা থাকেনা, সে বিয়ে করে। এটা অনেকটা সুখে থাকতে ভূতে কিলানোর মত।

১৬-আপনার স্ত্রী আপনার কৌতুক শুনে হাসল, এর অর্থ হচ্ছে হয় কৌতুকটি খুব ভালো, নয় আপনার বউ খুব ভালো।

১৭-বিয়ের আগে পযন্ত আমি জানতাম না সত্যিকারের সুখ কাকে বলে। যখন জানলাম তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে।

১৮-অনেকেই আমাদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের রহস্য নিয়ে প্রশ্ন করে। তাদেরকে বলি, সপ্তাহে দুদিন ভালো রেস্তোঁরায় ডিনার, মৃদু আলোতে সফ্‌ট মিউজিক, একটুক্ষণ নাচ – এই তো। আমি যাই বিষ্যুদবারে, আমার স্ত্রী সোমবারে।

১৯-বিয়ে না করলে ছেলেরা সারাজীবন ধরে ভাবত, তাদের জীবনে কোন ভুল নেই।

২০-একজন নববিবাহিত যখন বলে সে সুখি, আমরা জানি, কেন। একজন ১০বছরের বিবাহিত মানুষ যখন বলে সে সুখি, আমরা ভাবি,কেন?

২১-ছেলেটি বলেছিল মেয়েটির জন্য সে নরক পযন্ত যেতে রাজী। ঈশ্বর তাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। তাদের বিয়ে হয়েছে।

২২-বিয়ের আগে ছেলেটি যখন মেয়েটির হাত ধরে, সেটি হচ্ছে ভালোবাসা। আর বিয়ের পরে যখন ধরে, সেটি হচ্ছে আত্মরক্ষা।

২৩-ভালবাসা হচ্ছে একটি মিষ্টি স্বপ্ন আর বিয়ে হচ্ছে এলার্মক্লক।

২৪-এটা সত্যি যে কেউ পরাধীন হয়ে জন্মায় না, কিন্তু অনেকেই বিয়ে করে ফেলে।

২৫-এটা সত্যি যে ভালোবাসা অন্ধ, তবে বিয়ে চোখ খুলে দেয়।

২৬-মেয়েটি তার মাকে গিয়ে বলল, “আমি এমন একটি ছেলেকে খুঁজে পেয়েছি যে ঠিক বাবার মত”। মা বললেন, “এখন তুমি আমার কাছে কি চাও? সান্ত্বনা?”

২৭-বিয়ে হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার বিরুদ্ধে কল্পনার জয়। আর দ্বিতীয় বিয়ে হচ্ছে অভিজ্ঞতার বিপক্ষে আশাবাদের জয়।

২৮-মেয়েরা সত্যিই unpredictable. বিয়ের আগে তারা একজন পুরুষকে expect করে, বিয়ের পরে তাকে suspect করে, আর তার মৃত্যুর পরে তাকে respect করে।

২৯-In the beginning, God created earth and rested. Then God created man and rested. Then God created woman. Since then, neither God nor man has rested.

৩০-পত্রিকায় একটি ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন ছাপা হল, “Husband Wanted”। পরদিন কয়েকশ’ মহিলা যোগাযোগ করলেন, “আমারটি নিতে পারেন”।

৩১-একটি ছেলে ১টাকার জিনিস ২টাকায় কিনবে যদি এটা তার প্রয়োজনে লাগে। আর একটি মেয়ে ২টাকার জিনিস ১টাকায় পেলেই কিনবে জিনিসটা তার কাজে লাগুক চাই না লাগুক।

৩২-একটি মেয়ে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে চিন্তিত থাকে যতদিন তার বিয়ে না হয়। ছেলেদের চিন্তাটা বিয়ের পরে শুরু হয়।

৩৩-একজন সফল পুরুষ সে-ই যে এত টাকা আয় করতে পারে যা তার বউ খরচ করে শেষ করতে পারে না। একজন মেয়ের ক্ষেত্রে সাফল্য হচ্ছে এরকম একজন পুরুষকে খুঁজে বের করতে পারা।

৩৪-একজন পুরুষের সাথে সুখে থাকার মন্ত্র কি? You must understand him a lot and love him a little. একটি মেয়ের সাথে সুখে থাকতে হলে you must love her a lot and not try to understand her at all.

৩৫-বিয়ে করার একটা সুবিধা হচ্ছে, তোমার ভুল-ত্রূটিগুলো আর তোমার কষ্ট করে মনে রাখার দরকার নেই। এক কাজ দুজনের করার অর্থ কি?

৩৬-বিবাহিত পুরুষেরা চিরকুমারদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। মানুষ যা চায় তা কখনোই পায় না।

Wednesday, April 27, 2011

জয় বাবা , সাঁই বাবা (Sai Baba Exposed)


একেবারেই গড়পড়তা মানের জাদুকর সাই বাবাকে ঈশ্বর বানিয়ে ফেলেছিল আবাল জনতা। অবশ্য শুধু জনতা বলা ঠিক হলো না। কারণ দেশ-বিদেশের অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিও তার ভক্তের খাতায় নাম লেখাতে ব্যগ্র ছিলো। তার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে যেতে ব্যাকুল ছিলো তারা। 
 
 
সাই বাবা এক্সপোজড নামের ব্লগে এক পাঠকের মন্তব্য মনে ধরলো খুব: "যতোদিন আমাদের মতো গর্দভেরা থাকবে এই দুনিয়ায়, ততোদিন থাকবে এই জাতীয় জোকারেরাও।" 
ধর্মকারীর পাঠিকা অদিতি অন্তরা সাই বাবার ভণ্ডামির গুমর ফাঁক (গুমর ফাঁক ভাই, আপনেরে কিছু কই নাই) করা একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন।

Sunday, April 24, 2011

কোরান গ্রন্থ নির্ভূল কি? (Holy Quran)

বিশ্বের দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নী/কাদিয়ানী তথা কনভার্টেড মুছলমানের মধ্যে এমন কে আছে? যে কোরান গ্রন্থের নির্ভূলতা প্রমান করতে সক্ষম??
* জ্ঞানীদের আগেই জানা দরকার যে, কোরান আর কোরান গ্রন্থ এক নয়। প্রেম/প্রেমপত্র, জ্ঞান/জ্ঞানগ্রন্থ ইত্যাদি পরস্পর এক নয় এবং উহার ছোয়াব বা ফলাফল আরো আরো আকাশ-পাতাল পার্থক্য। প্রথমটি আল্লাহ এবং প্রকৃতি সর্বকালেই সংরক্ষণ করেন কিন্তু দ্বিতীয়টি আল্লাহও সংরক্ষণ করতে পারে না, করেনি এবং ওয়াদাও করেনি, সম্ভবপরও নয়।
•* কোন ধর্ম গ্রন্থই স্বয়ং আল্লাহ, প্রকৃতি, ফেরেস্তা এমনকি অধিকাংশ নবিগণও নিজ হাতে লিখেননি; লিখেছেন তাদের তুলনায় সাধারণ মানুষ। আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয়! হোক না সে নবি/রাছুল, দেবতা/অবতার! আদম বা ইব্লিস।

কোরান সম্বন্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেসনের স্ব বিরোধী মন্তব্য:
১. আল্লাহর আদেশে রাছুল কোরানের আয়াতের বিন্যাস, রূপ, সংখ্যা নিরুপণ করেন! অত:পর জিব্রাইল কর্তৃক কয়েকবার পরীক্ষা করে নির্ভূল/নিশ্চিত করা হয়! সেই কোরানই বিবি হাফসার মারফত প্রাপ্ত হয়ে হ. উছমান হুবহু নকল করে বিশ্বে প্রচার প্রতিষ্ঠা করেন । (দ্র: সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্ব কোষ, ১ম খ. ৩য় মুদ্রণ, পৃ: ৭০, ৩৩৬)
দ্বিতীয় মন্তব্য:
২. আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্বারীগণ কোরানের আয়াতের সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন: কুফীদের মতে: ৬,২৩৬টি; বসরাবাসীদের মতে: ৬,২১৬টি; সিরীয়াবাসীদের মতে: ৬,২৫০টি; ইসমাইল ইবনে জাফর মদনীর মতে: ৬,২১৪টি; মক্কীদের মতে: ৬,২১৮টি; হযরত আয়শার মতে: ৬,৬৬৬টি আয়াত (দ্র: সং. ই. বিশ্বকোষ, ১ম খ. পৃ: ৭০)। আর আজকের রাশাদ খলিফার মতে ৬২৩৪টি আয়াত।
তৃতীয় মন্তব্য:
৩. তফসিরে বায়দবীতে বলা হয়েছে যে, সুরা বাকারাতে ২৮১ টি আয়াত আছে। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, অধিকাংশের মতে কোরান মজিদের অবতীর্ণ শেষ আয়াতটি সম্বন্ধে হযরত (দ:) বলেন, ‘ইহাকে বাকারার ২৮০তম শেষ আয়াতের পরে সন্নিবেশিত কর।‘ (সং. ই. বিশ্বকোষ, ১ম খ. পৃ: ৭০)।
[অতএব সুরা বাকারার আয়াত সংখ্যা হওয়া উচিৎ মোট ২৮১টি। পক্ষান্তরে সেখানে আছে মোট ২৮৬ টি আয়াত। তদুপরি মহানবির নির্দেশ মত সেই শেষ আয়াতটি সেখানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। আর অতিরিক্ত ৫টি আয়াত সুরা বাকারায় কিভাবে ঢুকে পড়লো, কেন পড়লো! এই ঐতিহাসিক প্রশ্নটি আজও গোপন রয়েছে।]
৪. হযরত উবিয়্যার (রা) প্রতিলিপিতে ২টি সুরা অতিরিক্ত ছিল।
৫. ইবনে মাসুউদ (রা) এর প্রতিলিপিতে সুরা নং ১১৩ ও ১১৪ বিদ্বমান ছিল না।
৬. শীয়াদের মতে হযরত আলী (রা) ও তার বংশের (নবি বংশের) শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধীয় আয়াতসমূহ এমনকি সুরা সমূহ কোরান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, যথা : (ক) সুরা আল- নুরায়ন ও (খ) সুরা ওয়ালায়া।
৭.- পূর্বকালে সপ্তকারীর পাঠ ইসলামী সমাজে প্রচলিত ছিল। বর্তমানে ইহাদের দু’জনের পাঠ মাত্র প্রচলিত আছে-। মিশর ব্যতীত আফ্রিকার সর্বত্র নাফি’র পাঠ এবং মিশরে ও পৃথিবীর বাকি অংশে হাফসার পাঠ প্রচলিত।
[দুই কোরানের নমুনা: একটিতে লেখা বিছমিল্লাহির রহমানির রাহিম এবং আলিফ-লাম-মিমের উপর তাসদিদসহ বড় মদ অন্যটিতে ‘বিছমি আল্লাহ আর রহমান আর রাহিম এবং আলিফ-লাম-মিমের উপর তাসদিদ নেই।‘ অনুরূপ পার্থক্যে সমগ্র কোরান লিখা; সহজ সাক্ষি: সাধারণ বাজারের কোরান আর ইসুফ আলির সংকলিত কোরান।]
৮. স্বর চিহ্নসমূহ প্রথমে বর্ণের বিভিন্ন স্থানে নুক্তারূপে লিখিত হইত। অষ্টম শতাব্দির মধ্যভাগে এই ব্যবস্থা পরিবর্তীত করিয়া ‘আলিফ, ওয়াও, এবং য়্যা’ এর অনুকরণে বর্তমানে ব্যবহৃত যবর, পেশ ও যের প্রবর্তিত হয়। কেহ কেহ কোরানের লিপিতে এগুলির ব্যবহার সঙ্গত মনে করেন নাই। (৪ নং থেকে ৮ নং)সং. ই. বিশ্বাকোষ, ১ম খ. পৃ: ৩৩৬-৩৩৮)
[খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের প্রায় ১৪০ থেকে ৩৫০ বছর পরে নোক্তা ও কারক বিভক্তি বা ব্যকরনিক সংযোজন-সংশোধন আল্লাহ-রাছুল, জিব্রাইল তথা খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের জ্ঞানের উপর সাধারণ মানুষের হারামী বেদাতী হস্তক্ষেপ কি?]
৯. ছুরা তওবা ব্যতীত সকল ছুরার প্রারম্ভে লেখা ‘বিছমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহিম’ আয়াতটি অহি নয়।
[সুতরাং আল্লাহ/রাছুলের বিপরীতে ১১৩টি আয়াত অযথা ও অতিরিক্ত সংযোগ করেছে কে? কোন সাহসে?? কেন? সে কি ইব্লিছ নয়??]
১০. নাছেক-মনছুক নামে শরিয়তি-মারেফাতি এবং শিয়া-সুন্নী অসংখ্য তফছিরকারগণ বেশ কিছু আয়াতের উপর লিখিত প্রমানাদিসহ আদিকাল থেকে সন্দেহ পোষণ করে আসছেন।
শিয়াগণ বলেন, তিন শতের উপর কোরানের বাক্য তাহরীফ অর্থাৎ বদল করা হয়েছে যা আহলে বাইতের শানে ছিল। ইহাদের মধ্য থেকে ইমাম নেসাই ১৫০টি স্ব প্রমান করেছেন। সিরাতুন্নবি অর্থাৎ নবির চারিত্রিক গুণরাজি যে সকল বাক্যে উল্লিখিত ছিল তাদের মধ্য থেকে ১১৪টি বাক্য বদল করা হয়েছে। এ সকল বাক্যের অনেকগুলি ইবনে কাসির তার তফসীরে টীকাতে প্রকাশ করেছেন। কি ছিল এবং উহার স্থলে কি আছে তা তিনি প্রমান করেছেন।
১১. ৩: ১৪৪ নং আয়াত: মোহাম্মদ একজন রাছুল ব্যতীত নহেন।-।
এটি কোরানের নয় বলে প্রাচীন তফসীরকারগণ আজো প্রতিবাদ করছেন (দ্র: ১০,১১,১২: তফসীর দুর্বে মনসুর: ২য় খ.পৃ: ১৪০; তফসীর কাশ্শাফ ১ম খ. পৃ: ৩৯০; তফসীর কবির ৩য় খ. পৃ: ২০০ (মিশরীয় প্রকাশনা)। প্রযতেœ: হাদিছ সাহিত্যের ইতিহাস: সাদ উল্লাহ্; পৃ: ১০৮-১১৬)
অতঃপর সর্বজন বিদিত যে:
১২. হেরা পর্বতের গুহায় অবতীর্ণ সর্বজন স্বীকৃত সর্বপ্রথম আয়াত-ইকরা বিসমে-, কোরানে স্থান পেয়েছে শেষের দিকে ৯৬ নং ছুরা আলাকে।
১৩. সর্বজন স্বীকৃত শেষ অবতীর্ণ আয়াত- আল- ইয়াওমা আকমালতু-, কোরানের এই শেষ আয়াতটি স্থান পেয়েছে কোরানের প্রথম অংশের ৫নং ছুরা মায়েদার ৩ নং আয়াতের শেষের দিকে।
১৪. ছুরা ফাতেহা ৫ম সুরা বলে কথিত আছে; অথচ তা বসানো হয়েছে সর্বপ্রথম।
১৫. মক্কা-মদিনার অবতীর্ণ ছুরাগুলি সময়কালের হিসাব মতে ক্রম বিন্যাসিত অবস্থায় নেই। অর্থাৎ মাদানী ছুরাগুলি কোরানের প্রথম অংশে ও মক্বী ছুরাগুলি কোরানের শেষ অংশে স্থান পেয়েছে। অধিকাংশ মক্কী ছুরার মধ্যে দুএকটি বিচ্ছিন্ন মাদানী আয়াত, অনুরূপ মাদানী ছুরার মধ্যেও দুএকটি বিচ্ছিন্ন মক্বী আয়াত সন্নিবেশিত করা আছে। (দ্র: সমালোচনা, মু. পিকথল অনুদিত কোরান)
[এক্ষণে ইসলামিক ফাউন্ডেসনের বিশ্বকোষের প্রায় ২০জন শ্রেষ্ঠ আলেম, মুফতি, হাফেজ, স্কলারদের সম্মিলীত বিবরণ/মতামত কি বিভ্রান্তকর! হতাসাজনক নয়?]
১৬. (অনুবাদ প্রসঙ্গে) অনেক সুরা আছে, যা অ অর্থাৎ এবং শব্দ দিয়ে শুরু করা হয়েছে। প্রায় সমগ্র কোরানেই অ এর অর্থ এবং সুতরাং, অতএব, অথবা ইত্যাদি করা হয়েছে কিন্তু কোরানের শেষের দিকের বেশ কিছু ছুরায় অ এর অর্থ করা হয়েছে শপথ বা কসম, যদিও প্রকৃত শপথ অর্থে কসম শব্দটি কোরানে অন্যত্র উল্লেখ আছে। স্বয়ং আল্লাহর যদি কোন কিছুর শপথ বা দোহাই দিয়ে অহি নাজিল করতে হয় ! তবে তা আল্লাহর জন্য বড়ই অপমানজনক বটে! কারণ কসম করা হয় তুলনায় নিজের উর্দ্ধের ও অধিক বিশ্বস্থ একটা কিছুর। তাছাড়া:
স্বয়ং আল্লাহ নিজেই কোরানে ঘোষনা করে যে, যারা কথায় কথায় কসম করে তাদের বিশ্বাস করিও না। (৬৮: ১০) সুতরাং আল্লার স্বয়ং ঘন ঘন কসম করার সুযোগ নেই বা স্ব বিরোধী অহি করায়ো অসম্ভব। কয়েকটি উদাহরণ:
বৈকালের শপথ। খ) ছুটন্ত ঘোড়ার শপথ। গ) তীন ফলের শপথ, জাইতুনের (জলপাই) শপথ, সিনাই পর্বতের শপথ। ঘ) নিরাপদ নগরীর শপথ। ঙ) পূর্বাহ্নের শপথ ইত্যাদি। ( দ্র: কোরানের শেষাংশের কতিপয় ছুরা)
১৭. কোরান এর নামকরণ: আল কোরান, কোরান শরিফ, আল কোরানুল করিম, পবিত্র কোরান, মারেফুল কোরান, তাহফিমুল কোরান, ফি-যীলালীল কোরান ইত্যাদি স্ব স্ব মতের সংযোজিত শিরোনামগুলি অনধিকার, অহেতুক বা বিভ্রান্তমূলক বেদাতী সংযোজন বলা যায়। কারণ চির পরিচিত শিরোনাম/মোড়ক বদলের দু:সাহস যারা করেছে! তাদের পক্ষে ভিতরের জিনিষ বদল করা আরো সহজ।
১৮. ছুরা নিছার ১১, ১২ ও ১৭৬ নং আয়াতে সম্পত্তি বন্টনের বিধানগুলি অসম্পূর্ণ বা ভুল!
প্রমান: অবস্থাভেদে অংশীদারদের অংশগুলি যোগ করলে কথনও মূল সম্পত্তি ছাড়িয়ে যায় আবার কখনও এমন কি অর্ধেক সম্পত্তিও অবশিষ্ট থেকে যায়।
আল্লাহ/রাছুল বা কোরানের এই ঐতিহাসিক ভুল সাধারণ/ফালতু/লোকে সংশোধন করত ‘আল ফারাইদ’ নামক আর এক গোজামিল আইন ছুন্নী সমাজে বলবৎ আছে!

বর্তমান কোরান সংযোজিত কি সংকোচিত তা সন্দেহাতীত সাক্ষি-প্রমানের জন্য প্রয়োজন একজন রাছুল/নবির। অতীতের সকল ঐশী গ্রন্থই প্রকৃতির নিয়মেই রদ-বদল হয়েছে এবং তার সঠিক মীমাংশার জন্য পরম্পরায় প্রকৃতির নিয়মেই এক/একাধিক রাছুল/নবির আগমণ হয়েছে। অর্থাৎ সকল রাছুল-নবিগণই তার পূর্ববর্তি নবির/কেতাবের সত্যতার সাক্ষি দিয়ে ব্রম্মা-অব্রম-ইব্রাহিমের গ্রন্থেরই সংস্করণ, সংরক্ষণ ও ব্যাখ্যা করেছেন মাত্র; মোহাম্মদও অনুরূপ করেছেন।
অতএব কোরানের জন্যও এমন একজন সাক্ষি আসা অযৌক্তিক বা হারাম নয়! কিন্তু শরিয়ত কিছুতেই রাজি নয়! আর তাই সমস্যা সমাধানের আর দ্বিতীয় কোন পথও খোলা নেই।
১৯. ১৪শ বছরের কোরান লক্ষ-কোটি-কোটিবার সংকলন করার পরেও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৮ম বারেও আনকাবুত ছুরার আয়াত সংখ্যা ৬৯ এর স্থলে ছাপা আছে ৬৭; ছুরা যুমার এর ২৩ নং আয়াতে ‘মাশানিয়া’র স্থলে ‘মানানিয়া’ আরবি শব্দটি পর্যন্ত ভুল ছাপা আছে; অতএব ধারাবাহিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে এর চেয়েও গুরুতর ভুল থাকা একান্তই স্বাভাবিক!
[এক্ষণে তাতে অত্যাশ্চর্য হওয়ারও সুযোগ নেই! আর তাই বলে কোরান গ্রন্থকে অবহেলা বা প্রত্যাখ্যান করারো কোন হেতু নেই।]
২০. প্রকাশ থাকে যে:
* উল্লিখিত মতামত, মতান্তরগুলি হিন্দু, খৃষ্টান, নাস্তিক বা ম জ বাসারেরও ষড়যন্ত্র নয়! বরং স্ব জাতিয় জবরদস্ত, শ্রেষ্ঠ মাওলাহুম (তাদের আল্লাহ/প্রভু), ইমাম-আল্লামাদের!
* এতদসত্বেও আরবি কোরান অটুট থাকলেও উহার অনুবাদ/তফছিরে মতান্তরের উর্দ্ধে নির্ভূল অনুবাদ করার সিল্‌ (খতম) মারা উপযুক্ত লোক না পাঠিয়ে এযাবত অনারব মুছলিমদের উপর আল্লাহ অবিচার করলো? না অনারবদের কোরানের মূল দর্শন বুঝতেই দেয়নি??

তাই আজো:
ক. মাত্র উচ্চারণেই বর্ণ প্রতি ১০টি ছোয়াবের লোভ দেখিয়ে কোরানকে শুধুমাত্র পড়ার জন্যই রাখা হয়েছে?
খ. মানার জন্য দিয়েছে ১টি মাত্র আয়াত: মরার আগে ১বার মাত্র কলেমা পড়লেই একমাত্র শিরকী পাপ ব্যতীত সারা জীবনের (এমনকি আপন মা-বোন জেনা, খুন, সুদ-ঘুষ, মদ-মাগীসহ) শতভাগ পাপ ক্ষমা হয়ে ইরানী বেহেস্তবাসী হয়োয়ার বিভ্রান্তকর প্রলোভণ!
গ. তারপরো দরকার হলে আছে (২ নম্বরী অহি) লক্ষ লক্ষ হাদিছ!
ঘ. তাতেও অবৈধ স্বার্থ/খায়েশ পুরণ না হলে দৌড়াও নিকটস্থ মসজিদের নামাজ বেচা হারাম খাওয়া ( দ্র: ২: ১৭৪) মুফতি/ইমামদের ফতোয়ার জন্য!!
বিনীত।

Saturday, April 23, 2011

ক্রসফায়ার থেকে বেঁচে আসা ২ যুবকের লোমহর্ষক কাহিনী : RAB বিলুপ্তির দাবি এএইচআরসির


নিরপরাধ ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে নিষ্ঠুর এবং বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছেRAB । র্যাবের নির্যাতনের এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি)। গত ২০ এপ্রিল প্রকাশিত কমিশনের এক রিপোর্টে র্যাব সদস্যদের নির্যাতনের দুটি কেস স্টাডি তুলে ধরা হয়েছে। কেস স্টাডিতে রাজীব এবং সজীব নামে পুরান ঢাকার দুই যুবকের ওপর চালানো নির্মম নির্যাতন এবং ক্রসফায়ার থেকে তাদের বেঁচে যাওয়ার লোমহর্ষক কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এ সম্পর্কে RABপরিচালক (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) কমান্ডার সোয়াহেলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের রিপোর্টটি আমাদের হাতে আসেনি। আমরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।
রিপোর্টটিতে বলা হয়, নাহিদুল হক সজীব, বয়স ২৫। লালবাগ থানার অধীন চাঁনখারপুল এলাকায় তার ঘর। সে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গত ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিছু কেনাকাটার জন্য ঘর থেকে বের হয় সজীব। পাশেই তার ব্যবসা অফিস। অফিসের কাছাকাছি এলেই একদল র্যাব সদস্য সজীবকে থামায়। RAB সদস্যরা সজীবের কাছে তার নাম, সে কি করে এগুলো জানতে চায়। সজীব তার নাম এবং ব্যবসার কথা বলার পর এক র্যাব সদস্য সজীবকে বলে ‘তুই একজন ছিনতাইকারী।’ একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে RAB সদস্যরা তার চোখ বেঁধে ফেলে গাড়িতে তোলে। চোখ বাঁধার পর তার মুখের ওপর আরও একটি মাস্ক পরিয়ে দেয়া হয়। সজীবকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাগ কেল্লার পাশে অবস্থিত র্যাব-১০-এর ক্যাম্পে। মুখোশ পরিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ক্যাম্পের দোতলার একটি সেলে সজীবকে রাখা হয়। গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের নামে শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন। সেল থেকে কয়েক গজ দূরে পাশের আরেকটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন RAB কর্মকর্তা তার এবং তার বাবার নাম জানতে চান। সজীব উত্তর দেয়ার পর ওই কর্মকর্তা বলেন, আমি তোকেই খুঁজছি। এ কথা বলেই ওই কর্মকর্তা একটি লাঠি দিয়ে সজীবকে পায়ের তলায়, পিঠে ও কাঁধে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে সজীব অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে র্যাবেরই একজন ডাক্তার এসে তাকে চিকিত্সা দেন। সজীবের জ্ঞান ফেরার পর RAB সদস্যরা তাকে এক প্যাক জুস খেতে দেয়। রাতে RAB সদস্যরা সজীবের পায়ের আঙ্গুলের সঙ্গে হ্যাসকে ট্যাগ লাগিয়ে বারবার ইলেকট্রিক শক দেয়। তবে তাকে রাতে আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে দেয়া হয়।
৬ এপ্রিল বেলা আড়াইটায় সজীবকে জানানো হয় RAB একজন বড় কর্মকর্তা এসেছেন। সজীবকে ওই কর্মকর্তার সামনে হাজির করা হয়। ওই কর্মকর্তা তার অধস্তন কর্মকর্তাদের কাছে সজীবের গ্রেফতারের ব্যাপারে জানতে চান। জুনিয়র র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সন্দেহ করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তথ্য বের করার চেষ্টা হচ্ছে। এ সময় ওই কর্মকর্তা বলেন, ঠিক আছে তথ্য বের করে রিপোর্ট তৈরি কর। প্রয়োজন হলে আরও পেটাবে।
এরপর সজীবকে অন্য একটি রুমে নেয়া হয়, সেখানে একজন ডাক্তার তাকে আবার পরীক্ষা করেন।
৭ এপ্রিল রাত ৩টায় র্যাব সদস্যরা সজীবকে অন্য একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তারা দীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে সজীবের ওপর নির্যাতন চালায়। তার আঙ্গুলে সূচ ঢোকানো হয়। ধারালো ধাতব ব্লেড দিয়ে সজীবের নখ কেটে ফেলা হয়। এরপর ওই নখের ওপর এক ধরনের স্প্রে করা হয়, যাতে আঘাতের চিহ্ন বোঝা না যায়। কয়েক দিন পরে সজীবের পায়ের তলায় অস্ত্রের বাঁট দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হয়। এখানেই নির্যাতনের শেষ নয়, র্যাব সদস্যরা সজীবের কানের মধ্যে শক্ত কাঠি ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় সজীবের কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। এই নির্যাতনের মধ্যে সজীব জানতে চায় কি তার অপরাধ। তার প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে র্যাব সদস্যরা আরও নির্যাতন চালায়।
৮ এপ্রিল রাত আড়াইটায় নতুন ৩ র্যাব সদস্য সজীবকে যেখানে আটক রাখা হয়েছে সেখানে আসে। তারা এসেই সজীবকে উপর্যুপরি লাথি মারতে থাকে। পরে মেঝেতে ফেলে বুট দিয়ে নির্মমভাবে পাড়াতে থাকে। সজীব অজ্ঞান হওয়ার আগ পর্যন্ত এই নির্যাতন চলতে থাকে।
৮ এপ্রিল রাতে র্যাব সদস্যরা সজীবের কাছে এসে বলে অজু করে আয়। পরে তাকে সূরা ইয়াসিন এবং সূরা আর-রাহমানের কয়েকটা আয়াত দিয়ে তা পাঠ করতে বলে। সজীব তখন বারবার ওই আয়াতগুলো পড়তে থাকে। সজীবকে আটকের একদিন পর অর্থাত্ ৬ এপ্রিল হোসনি দালান এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা আটক করে কাওসার হোসেন রাজীবকে। রাজীবের বয়স ২৪। প্লাস্টিকের বোতলের ব্যবসা তার। রাজীব ও সজীব সম্পর্কে কাজিন।
তখন রাত আনুমানিক ৮টা। রাজীব তার বাবা আওলাদ হোসেনের সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। পথে সাদা পোশাকে ৮ জনের র্যাবের একটি দল রাজীবকে থামায়। র্যাব সদস্যরা রাজীবকে বলে তাকে তাদের সঙ্গে যেতে হবে। রাজীব এ সময় জানতে চায় তার অপরাধ কী। তখন র্যাব সদস্যরা বলেন একদম চুপ।
রাজীবের বাবা আওলাদ হোসেন এবং ছোট ভাই রনি এ সময় এগিয়ে এসে জানতে চায় কেন রাজীবকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় উত্তেজিত র্যাব সদস্যরা অস্ত্র বের করে বলে কথা বললে গুলি করে মেরে ফেলব। এরপর র্যাব সদস্যরা রাজীবের চোখ এবং মুখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে একটি মাইক্রোবাসে করে র্যাব-১০-এর লালবাগ কেল্লার পাশে অবস্থিত ক্যাম্পে নিয়ে যায়। চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় রাজীবকে প্রায় ১ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরপর রাজীবকে র্যাবের এক সিনিয়র কর্মকর্তার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি চেয়ারে তাকে চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় বসানো হয়। এ সময় তার পেছনে বাঁধা হয়। পা দুটি রাখা হয় অন্য একটি চেয়ারের ওপর। হকিস্টিক দিয়ে র্যাব সদস্যরা তার পায়ের তলায় নির্মমভাবে পেটাতে শুরু করে। এরপর আঙুলে লোহার ক্লিপ লাগিয়ে বারবার ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়। প্রায় ১ ঘণ্টা চলে এই নির্যাতন। নির্যাতনের পর তাকে রুমে নিয়ে আসা হয়। তাকে রাতের বেঁচে যাওয়া কিছু খাবার খেতে দেয়া হয়, যা খাওয়ার উপযুক্ত ছিল না। আধ ঘণ্টা পর রাজীবকে আবার অন্য একটি রুমে নেয়া হয়। এ সময় নির্যাতন আর আঘাতের কারণে রাজীব কাঁপছিল। সে হাঁটতে পারছিল না। তখন র্যাব সদস্যরা তাকে হাঁটতে বলে। রাজীব জানায়, তার পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। নির্যাতনকারী র্যাব সদস্যরা এখন যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দেব এই কথা বলে আবার পেটাতে শুরু করে। রাজীবের আঙুল এবং নখের মধ্যে সূই ঢুকিয়ে দেয়। রুমের মেঝেতে পড়ে থাকে রাজীব। নিষ্ঠুর র্যাব সদস্যরা এ সময় রাজীবকে আবার ওঠে দাঁড়াতে বলে। রাজীব জানায়, তার দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। এরপর রাজীবের শরীরের কয়েকটি ধাতব পাত জড়িয়ে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়। ইলেকট্রিক শকে রাজীব দূরে ছিটকে পড়ে। র্যাব সদস্যরা তখন বলে, তুই নাকি দাঁড়াতে পারবি না, এখন দেখলি তো তুই লাফাতেও পারিস।
এভাবে নির্যাতন চালিয়ে র্যাব-১০-এর সদস্যরা রাজীবকে তাদের নির্দেশমত স্বীকারোক্তি দিতে বলে। আর স্বীকারোক্তি না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। ৭ এপ্রিল রাজীবকে নিয়ে র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় এবং ক্রসফায়ারে মারার ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা বারবার বলে তুই একজন ছিনতাইকারী।
৮ এপ্রিল মধ্যরাতে র্যাব সদস্যরা রাজীব এবং সজীবকে চোখ-মুখ বেঁধে একটি গাড়িতে করে আজিমপুর এলাকার দিকে যায়। গাড়ির মধ্যে যখন তাদের চোখ-মুখ খুলে দেয়া হয়, তখন তারা একে অন্যকে চিনতে পারে এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। এ সময় তাদের ওপর আবার নির্যাতন চালানো হয়। সজীব এবং রাজীবকে নিয়ে র্যাব সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। এক পর্যায়ে তাদের ক্রসফায়ারে মারার জন্য বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সোয়ারীঘাট এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় র্যাবের সঙ্গে পুলিশ এবং অন্যান্য এজেন্সির সদস্যরাও ছিল। র্যাব কর্মকর্তারা এ সময় রাজীব এবং সজীবকে দৌড়াতে বলে। কিন্তু তারা দৌড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা জানে দৌড়ালে তাদের গুলি করা হবে। রাজীব এবং সজীব এক র্যাব কর্মকর্তার পা জড়িয়ে ধরে আকুতি জানায়, আমাদের মারবেন না। আমাদের ক্যাম্পে নিয়ে চলুন। এ সময় আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার থেকে দু’জন গার্ডকে নিয়ে আসা হয়েছিল, যারা র্যাবের নির্দেশে রাজীব এবং সজীবকে ছিনতাইকারী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়ে একটি কাগজে সই করে। এরই মধ্যে সকাল হয়ে আসে। র্যাব সদস্যরা ওই রাতে রাজীব এবং সজীবকে না মেরে ফেরত নিয়ে যায়। র্যাবের এক কর্মকর্তা তাদের বলেন, তোদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত ছিল। হয়তো জীবনে কোনো ভালো কাজ করেছিলি তাই বেঁচে গেলি। নিয়মিত নামাজ পড়বি।
৯ এপ্রিল সকালবেলা র্যাব-১০-এর ক্যাম্পে সজীব এবং রাজীবকে নিয়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত রাজীবকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সজীবকে হাজির করা হয় র্যাবের এক সিনিয়র কর্মকর্তার রুমে। ওই কর্মকর্তা উত্তেজিত কণ্ঠে গালাগাল দিয়ে বলেন, মন্ত্রী-এমপি দিয়ে ফোন করিয়ে ক্ষমতা দেখাস। যা বেঁচে গেলি বলে তিনি সজীবকে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বলেন, আমরা আমাদের ক্ষমতা দেখালাম। এরপর ছিনতাই মামলা দিয়ে দু’জনকে চালান করে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন র্যাব কর্মকর্তা। বিকেলের দিকে হাসপাতাল থেকে রাজীবকে ফিরিয়ে আনা হয়। সজীব ও রাজীব দুজনের বুকে নাম লিখে সামনের টেবিলে দুটি ছুরি রেখে ছবি তোলা হয়। এরপর লালবাগ থানায় নিয়ে ছিনতাইকারি বলে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু করতে বললে ডিউটি অফিসার প্রথমে অপারগতা জানান। তার যুক্তি, ছিনতাই করেনি- করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, এ কারণে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয় না। ছিনতাই করলে ছিনতাইকৃত মালামালের দরকার। তখন র্যাব কর্মকর্তা সজীব ও রাজীবকে আটকের সময় তাদের কাছে থাকা মোবাইল এবং টাকা ছিনতাইকৃত বলে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করতে বলেন। এক পর্যায়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিউটি অফিসার কথা বলেন এবং মামলা রুজু করেন। ১০ এপ্রিল সজীব ও রাজীবকে কোর্টে চালান দেয় পুলিশ। কোর্টে তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। র্যাব সদস্যরা পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেয়ার আগে শাসিয়ে দেয় নির্যাতনের কাহিনী কোথাও প্রকাশ করলে তাদের মেরে ফেলা হবে। কিন্তু জীবনের মায়া উপেক্ষা করেই মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সজীব ও রাজীব। তারা জানান, মুক্ত হওয়ার পরও তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে টেলিফোনে।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের পক্ষ থেকে র্যাবের এই বর্বর অপরাধের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি অবিলম্বে র্যাব বিলুপ্ত করার দাবি জানানো হয়।

Tuesday, April 19, 2011

জোকার নায়কের দিগ্বিজয়ী যুক্তি দেখেন এবং শুনেন।(SomeWhereIn Blog এর লেখক "জীবন মায়া" এর নিকট হতে সংগৃহীত)


জাকির নায়েকের যুক্তি দেখেন। অত্যন্ত জোরালো যুক্তি দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন অমুসলিমরা মুসলিমপ্রধান দেশে তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় বানাতে পারবেনা এবং কেন মুসলমানরা অন্য দেশে মসজিদ বানাতে পারবে । এরপরও যদি নাচ-তিকেরা জোকারকে রামছাগল বলে তাহলে আর কিছুই বলার নেই।



বিস্তারিত - http://www.somewhereinblog.net/blog/ttalukder/29281912
আস্তিক ভাইরা দলে দলে আমাকে গালি দিয়ে দোজাহানের অশেষ নেকী হাসিল করুন।

Sunday, April 17, 2011

First Trailer for 'Johnny English Reborn': License to Bungle


Johnny English is back. Who the heck is Johnny English, you may ask? Well, put Mr. Bean on the set of the original 'Casino Royale,' give him a license to be inept, and you have an accidental secret agent who bungles himself through the 2003 film titled, appropriately enough, 'Johnny English.' Rowan Atkinson, evidently trying to expand his wacky goofball Mr. Bean character into new territory (and cash in on the success of the Austin Powers franchise -- 'Austin Powers in Goldmember' came out in 2002) tried to make his mark as a British Maxwell Smart. Didn't work. The plot: All the top British secret agents have been killed in an explosion and it's up to English to figure out who has stolen the crown jewels from the Tower of London. The consensus: Awful. 




Buy awful doesn't count in the movie biz, and someone thought it might be a good idea to resurrect English for the 21st century -- so we now have 'Johnny English Reborn.' This time around, Atkinson is joined by a cast of top-notch actors, including Rosamund Pike, Pierce Brosnan, Dominic West and Gillian Anderson. The film opens in the UK Oct. 7; there's no word on a U.S. debut.

Below is the plot line for the film -- and check out the trailer after the jump. Then let us know what you think about this sequel.











Storyline

Rowan Atkinson returns to the role of the accidental secret agent who doesn't know fear or danger in the comedy spy-thriller Johnny English Reborn. In his latest adventure, the most unlikely intelligence officer in Her Majesty's Secret Service must stop a group of international assassins before they eliminate a world leader and cause global chaos. In the years since MI-7's top spy vanished off the grid, he has been honing his unique skills in a remote region of Asia. But when his agency superiors learn of an attempt against the Chinese premier's life, they must hunt down the highly unorthodox agent. Now that the world needs him once again, Johnny English is back in action. With one shot at redemption, he must employ the latest in hi-tech gadgets to unravel a web of conspiracy that runs throughout the KGB, CIA and even MI-7. With mere days until a heads of state conference, one man must use every trick in his playbook to protect us all... Written by Universal Pictures  

Tuesday, April 12, 2011

অন্য রকম অভিনেত্রী জয়া আহসান এর এক্সক্লুসিভ ভিডিও

জয়া আহসান, অনেকেরই প্রিয় অভিনেত্রী। নাটকের প্রয়োজনে অভিনয় নিয়ে নানাবিধ এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছেন, এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন। সচরাচর অভিনেত্রী জয়ার যে রুপে দেখেন, এই রুপ তার একটু ব্যতিক্রম। পাঞ্জাবীওয়ালা নাটক থেকে এই ভিডিও নেয়া হয়েছে । যেই নাটকে জয়া একজন যাত্রাদলের অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিল।










ভিডিও টা কেমন লাগলো জানাবেন।